ছাত্র বয়েসে আয়ের দশটি উপায় - Banglablog360

আজকে আমি আপনাদেরকে এমন দশটা উপায় বলতে চাই যে দশটা উপায়ের মধ্যে যদি আপনারা একটা উপায় ও ব্যবহার করেন তাহলে আপনারা আজ থেকেই টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

Student Income
ছাত্র বয়েসে আয়ের দশটি উপায়

ছাত্র বয়েসে আয়ের দশটি উপায়

১.টিউশনি

আমি আমার জীবনের প্রথম টাকা উপার্জন করা শুরু করি এই টিউশনি থেকে। আমার এখনো মনে আছে আমি ২০০০ টাকার একটি টিউশনি পেয়েছিলাম দশম শ্রেণীর এক ছাত্রের কাছে থেকে। এবং তারপর আমি প্রথম ছয় মাসের মধ্যেই একটি ব্যাচ পড়ানো শুরু করি। দ্বিতীয় বছরে যেয়ে আমি তিন-চারটা ব্যাচ পড়ানো শুরু করি। এবং আমি যেই ফোন দিয়ে আর্টিকেলটা লিখছি সেই ফোনটাও আমার টিউশনির টাকা থেকেই কিনা। তাই আজকে থেকেই টিউশনি শুরু করুন। আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যে ভাইয়া আমি তো টিউশনি পাইনা?

তো তাদের জন্য আমি একটি সহজ আইডিয়া দিতে চাই। আপনারা আপনাদের ছবি,নাম এবং আপনাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে পোস্টার বানিয়ে বাহিরে দেয়ালে-দেয়ালে লাগিয়ে দিতে পারেন। এতে করে যাদের টিউশন টিচার প্রয়োজন তারা নিজে থেকেই আপনাকে খুঁজে নিবে।

২.ডিজাইন

এটাও আমার একটা ফেভারিট পয়েন্ট। আমি আমার হাই স্কুল জীবন থেকেই ডিজাইন করা শুরু করি। এবং দেখি প্রচুর ডিজাইনের কাজ পাওয়া যায়। প্রচুর জায়গা থেকে মানুষ ডিজাইনার খুঁজছে। তাই আপনি যদি ভালো ডিজাইন করতে পারেন তাহলে প্রতিটি ডিজাইনের বদলে আপনি আস্তে আস্তে টাকা উপার্জন শুরু করতে পারবেন। এটাও টাকা উপার্জনের একটা ভালো উপায়।

৩.এডিটিং-

এডিটিং,মানে ফটো বা ভিডিও এডিটিং। আপনি যদি ফটো বা ভিডিও এডিটিং এর উপর ভাল দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে অনলাইনে অনেক প্লাটফর্ম আছে যেখানে আপনি হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে ভালো মানের ভিডিও বা ফটো এডিটিং শিখতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে এসব ফ্রিতেই শিখতে পারেন।

৪. রাইটিং

আমরা সবাই লিখতে পারি ঠিক না?কিন্তু কয়জনিবা পারি তার লেখাটা নিউজ পেপারে ছাপাতে?আপনার লেখার হাত যদি খুবই ভালো হয,বাংলা হলেও হবে ইংরেজি হলেও হবে প্রচুর ব্লগিং সাইট আছে,প্রচুর অনলাইন সাইট আছে তো এইসব জায়গায় ভালো রাইটার খুজছে। আপনারা এই আর্টিকেলটা যেই সাইটে পড়তেছেন সেই সাইটেও ভালো রাইটার খুজতেছে। তো যারা যারা ভালো লিখতে পারেন তারা আজ থেকেই রাইটিং শুরু করুন। হতে পারে প্রথমে আপনি লেখার বদলে টাকা পাবেন না তবে লিখতে লিখতে এক সময় ভালো রাইটার হয়ে গেলে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৫. ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং মানে হচ্ছে যে কোন একটা বাইরের কাজ আপনি এখান থেকেই করে দিচ্ছন। ধরুন একজনের ফটো এডিটর দরকার তার ফটো ভালো করে এডিট করে দেওয়ার জন্য। এবং আপনি খুব ভালো ফটো এডিটর। তাহলে আপনি তার ফটো এডিট করে দিবেন এবং বদলে সে আপনাকে টাকা দিবে। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বর্তমানে প্রচুর ওয়েবসাইট রয়েছে তবে বিখ্যাত কিছু ওয়েবসাইট হচ্ছে: ফ্রিল্যান্সার,ফাইবার,আপওয়ার্ক।

৬.এজেন্সি

এজেন্সি হলো এক ধরনের কোম্পানি। যে কোম্পানিগুলোর কাজ হচ্ছে বড় বড় কোম্পানির জন্য ভিডিও এডিট করে দেওয়া,কোন কিছু ডিজাইন করে দেওয়া,ইভেন্ট নামিয়ে দেওয়া ইত্যাদি যতগুলো কাজ থাকে। আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি কোন একটা কাজে ভাল পারদর্শিকতা থাকে তাহলে প্রচুর এজেন্সি আছে যারা আপনাকে তাদের কাজ দিবে এবং আপনি তাদের কাজ করে দিবেন।যেমন-আমি যখন শুরুতে ডিজাইনিং এর কাজ করতাম তখন আমি প্রেজেন্টেশন ডিজাইন করতাম। তো প্রচুর এজেন্সি থেকে আমাকে বলতো কাজের জন্য। এভাবে প্রচুর এজেন্সির দ্বারা আমি অনেক বড় বড় কোম্পানির কাজ পাওয়া শুরু করি। তো আপনি যদি কোন একটা কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে কোন একটা এজেন্সিতে ঢুকে পড়েন দেখবেন প্রচুর কাজ পাবেন।

৭.ফটোগ্রাফি

স্টুডেন্টদের জন্য ফটোগ্রাফি একটা বিশাল অপরচুনিটি। যারা যারা ফটোগ্রাফি পারেন, যারা যারা ভিডিওগ্রাফিং পারেন তাদের জন্য প্রচুর অপরচুনিটি রয়েছে। ওয়েডিং ফটোগ্রাফি থেকে শুরু করে ইভেন্ট ফটোগ্রাফি, কর্পোরেট ফটোগ্রাফি, আরো অনেক ধরনের অপরচুনিটি রয়েছে। অনলাইনে অনেক সেলিব্রেটিদের ফটো আপনি দেখতে পাবেন সেগুলো নিশ্চয়ই কোন না কোন ফটোগ্রাফার দ্বারাই তুলে নেওয়া হয়েছে। আপনি যদি একজন ভালো ফটোগ্রাফার হতে পারেন তাহলে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ভালো ফটোগ্রাফার হওয়ার জন্য অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে একটা ভালো মানের ক্যামেরা দিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। এবং ইউটিউব থেকেই আপনি ফটোগ্রাফারের দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।

৮.ছোটখাটো ব্যবসা

স্টুডেন্ট বয়সে প্রচুর ছোটখাটো ব্যবসার আইডিয়া থাকতে পারে।যেমন: আপনি চাইলেই ৫০০০ টাকা ইনভেস্ট করে ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অথবা সামান্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করে কোন প্রোডাক্ট পাইকারি ভাবে কিনে সেটা বাজারে বেঁচে লাভবান হতে পারে। অথবা আপনি কোন একটা বিষয়ে অনলাইন থেকে কোর্স কিনে সেইটা অল্প দামে অনেককেই সেল করতে পারেন। তো আজকে থেকেই আপনার যেই আইডিয়াগুলো রয়েছে সেই আইডিয়াগুলোকে ব্যবহার করে কাজে লাগিয়ে পড়ুন। এখন থেকেই কিন্তু শুরু করা যায়। স্টুডেন্ট অবস্থায় সবচেয়ে সেরা মোমেন্ট কোন কিছু শুরু করার জন্য।

৯.কোডিং-

এখন আইসিটির জোয়ার ভরে যাচ্ছে। আপনি যদি ভালো কোডিং পারেন তাহলেই আপনি একটা অ্যাপ ডেভেলপ করতে পারবেন, বা ওয়েবসাইট ডেভলপ করতে পারবেন। অথবা আপনি কোন একটা বড় কোম্পানির জন্য একটা সফটওয়্যার বানিয়ে দিতে পারেন। তো এরকম অনেক অপরচুনিটি রয়েছে। বর্তমানে পুরো বিশ্বে কোডিং এর চাহিদা প্রচুর। আপনি যদি আমেরিকান কোন একটা কোম্পানির জন্য একটা ওয়েবসাইটও ডিজাইন করে দিতে পারেন তাহলে ধরেন আপনাকে ১০০০ ডলার তারা দিল তাহলে আপনি ৮৫ হাজার টাকা ইনকাম করে ফেলতে পারলেন। এভাবে যদি আপনি বিশটা কোম্পানির জন্য ওয়েবসাইট বানিয়ে দেন তাহলেই আপনার আর টাকা পয়সার কোন সমস্যায় থাকছে না। বর্তমানে কোডিং শেখা খুবই সহজ এগুলো ইউটিউবেই ফ্রিতে পাওয়া যায়।

১০.ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট-

আমার অনেক ফ্রেন্ডরাই এই কাজটি করছে। বিভিন্ন ধরনের ফুডসেল ইভেন্ট, কর্পোরেট ইভেন্ট, বা কোন একটা অকেশন পহেলা বৈশাখের ইভেন্ট এগুলো অর্গানাইজ করে দেওয়া। তো আপনি যদি কোন ক্লাবের হয়ে কাজ করে থাকেন এবং যদি আপনার মনে হয় যে আপনার এই অর্গানাইজিং স্কিলস আছে তাহলে আজকে থেকে আপনি এই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম এর হয়ে কাজ করা শুরু করে দিতে পারেন। অথবা নিজেই একটা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম খুলে ফেলতে পারেন। তাহলে দেরি কিসের? তো এই দশটি উপায়ের যেকোনো একটি উপায়ও যদি আপনি অবলম্বন করতে পারেন তাহলে আপনি খুব দ্রুতই অর্থ উপার্জন শুরু করে দিতে পারবেন।

Posted by : Minhaz Pramanik

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url